ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর বিকল্প নেই

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০২:১৪,অপরাহ্ন ১৫ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৬৩৩ বার পঠিতমুফতি মাওঃ তাজুল ইসলাম,প্রিন্সিপাল দারুত তাকওয়া মাদ্রসা ঢাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ধর্ম মন্ত্রী হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অত্যান্ত আস্থাভাজন ও দূর্দিনের কান্ডারী আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর বিকল্প নেই।
আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী একজন হক্কানি আলেম বান্ধব ও বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন ও আওয়ামী লীগের দূর্দিন, দুঃস্বময়ের কান্ডারী যিনি ২০০৫ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে একাত্মতা পোষন করে মাঠে ময়দানে আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর পাশে থেকে দেশের মানুষের জন্য ও হক্কানি উলামায়ে কেরামের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন গ্রেফতার হন তখন থেকে মুক্ত হওয়া পর্যন্ত আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী কওমি মাদরাসার সনদের জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ফরিদাবাদ মাদরাসায় হাটহাজারীর হযরত সহ দেশের শীর্ষ আলেমদের একটি বৈঠক করে প্রধান মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব তুলে ধরেন সেই থেকে সনদের স্বীকৃতি আসা পর্যন্ত মেহনত চালিয়ে যান আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর মেহেরবানিতে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি পায়।
২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরের গঠনার পর যখন সরকারের সাথে উলামায়ে ক্বেরামের দূরত্ব তৈরি হলো তখনও মিছবাহুর রহমান চৌধুরী অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরকার ও উলামায়ে ক্বেরামের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি গঠান। কিন্তু মিছবাহুর রহমান চৌধুরী কোনদিন নিজেকে সামনে এনে বাহবা পেতে চাননি চেয়েছেন আল্লাহর সন্তুষ্টি।
২০০৮ সাল থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের শুরু থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণস-এর গভর্ণর নিয়োজিত হন, শুরু করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে আলেম-ওলামা ও ধর্মিয় সেক্টরে কিছু করার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নিয়ে যান উন্নয়নের চুড়ান্ত শিখরে। মাত্র ১৩০০/- টাকা থেকে গণশিক্ষার শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে নিয়ে আসেন ৫০০০/- টাকায় বর্তমানে প্রায় ৮০,হাজার মসজিদে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী উদ্যোগ নেন কিছু ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও বোর্ড অব গভর্ণস প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম সারা বাংলাদেশে একইসাথে ১০১০ দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত করেন।
মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্ণস এর সকলের প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে আধুনিক মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন যা বর্তমানে চলমান রয়েছেন। এতকিছুর মূল উদ্দেশ্য উলামায়ে ক্বেরামের কর্মসংস্থান।
মিছবাহুর রহমান চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করেছেন সারা বাংলাদেশের সকল প্রাইমারী ও উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন করে ধর্মিয় শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষার্থীদের কুরআন শিক্ষা ও আলেমদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য।
যার প্রতিটি মুহূর্ত উলামায়ে ক্বেরামের প্রতি দরদ ও ভালবাসার, যার প্রতিটি মূহুর্ত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার চিন্তা, যার দূর্নিতীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন, যার নেতৃত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় পাবে একজন প্রকৃত অভিভাবক।
আমরা বাংলাদেশের সর্বোস্থরের উলামায়ে ক্বেরাম ও সাধারণ জনগণের আশা ও প্রত্যাসা দেশ ও জাতির সার্থে আওয়ামী লীগ এর সার্থে ধর্ম-মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যান্ত আস্থাভাজন, আওয়ামী লীগের দূর্দিনের ও দুঃস্বময়ের কান্ডারী আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর ব্যাপারে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।