সিলেটের মাঠে মুক্তাদির ও আরিফ
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২২:২৫,অপরাহ্ন ২২ অক্টোবর ২০২২ | সংবাদটি ২১১ বার পঠিতরাজনৈতিক মাঠে দু’জনের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই আছে। দলের ভেতরে কর্তৃত্ব নিয়ে রয়েছে টানাপড়েন সম্পর্ক। এরপরও দলের প্রয়োজনে তারা এক। এতে কোনো দলাদলি কিংবা দ্বন্দ্ব নেই। একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন দু’জনই এরা হলেন- বিএনপি’র চেয়াপরপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর হক চৌধুরী। বিএনপি’র সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ এই দুই নেতা। গণসমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে শুরু করেছেন প্রস্তুতিও।
এরই মধ্যে ড. মঈন খানের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় একটি টিম সিলেট সফর করে গেছেন। তারা বিভাগের সকল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী। এখন চলছে অঙ্গসংগঠন ও ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক।
বিজ্ঞাপন
এতেও উপস্থিত থাকছেন এই দুই নেতা। দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- বিএনপি’র গণসমাবেশকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করা হয়েছে।
এসব বৈঠকে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী দু’জনই উপস্থিত ছিলেন। তাদের ঘিরেই মূলত সিলেটে প্রস্তুতির সব কিছু আবর্তিত হচ্ছে। তাদের দিকনির্দেশনা মতো সিলেটে গণসমাবেশের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা। এদিকে- সিলেটের এই গণসমাবেশকে সামনে রেখে সিলেট বিএনপি’র নেতারা ২০১২ সালে এম ইলিয়াস আলীর উদ্যোগে আয়োজিত টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী সমাবেশেকে সামনে এনেছেন। নেতারা জানিয়েছেন- বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওই সময় শুধু আলীয়া মাদ্রাসা ময়দান নয়, গোটা নগরীই সমাবেশে পরিণত হয়েছিলো। এতে শুধু বিএনপি নয়, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শরিক হয়েছিলেন।
এবারের সমাবেশে একই পরিমাণ লোক জমায়েত চান নেতাকর্মীরা। এজন্য গণসমাবেশের এক মাস আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আর এই প্রস্তুতিতে সিলেট বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতারা ঐক্যবদ্ধ। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে গণসমাবেশে বিপুল পরিমাণ লোক নিয়ে আসার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির জানিয়েছেন- বিএনপি’র প্রতিটি সমাবেশে মানুষের ঢল নামছে। দেশবাসী আর এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সিলেটের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হবে ইনশাআল্লাহ। এতে বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ থাকছে। কেউ আর ঘরে বসে থাকবে না।
সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান দিতে সবাই মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। এতে করে সাধারণ মানুষও বিএনপি’র কর্মসূচিতে এসে শরিক হচ্ছেন। সিলেটের মেয়র ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। গণসমাবেশে এর প্রমাণ দেশবাসীকে দেখিয়ে দেয়া হবে। সিলেটে মানুষ সমাবেশে এসে শরিক হবেন। আর এটি সফল করতে যা করা প্রয়োজন সিলেট বিএনপি’র নেতারা সেটি করছেন। এদিকে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে সিলেট জেলা বিএনপি’র কমিটি পূর্ণাঙ্গ হতে পারে। এ নিয়ে জেলার নেতারা পুরোদমে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে কমিটির খসড়া চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী জানিয়েছেন- ‘কর্মসূচি পালন, গণসমাবেশের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কাজও চলছে। কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে- মূল ফোকাস দেয়া হচ্ছে সমাবেশের দিকে।’ সিলেট মহানগর বিএনপি’র নেতারা নগরে দল গোছানোর কাজ করছেন। ইতিমধ্যে তারা নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন ও কাউন্সিল সমাপ্ত করেছেন। গণসমাবেশের প্রস্তুতির পাশাপাশি তারা মহানগরের ওয়ার্ড সম্মেলনও করবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা। সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। সিলেটের তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন- খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই মুহূর্তে সিলেট বিএনপি’র অভিভাবক। তারা এক মাস আগে থেকে মাঠে নামায় গণসমাবেশের প্রস্তুতি জোরেশোরে হচ্ছে। তৃণমূলের নেতারাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন