নতুন জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ, ছিল বড় হামলার পরিকল্পনা
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১০:৫৬,অপরাহ্ন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ২৩৬ বার পঠিতদেশে বড় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনটির নাম তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী)। গত ২-৩ মাস ধরে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে জানিয়েছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। এটিইউ জানায়, আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি। গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা মো. জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এটিইউ। এসময় তার কাছ থেকে সংগঠনটির ৮টি পতাকাও উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাকি দু’জন হলেন মো. রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।
এটিইউ জানায়, নতুন এই উগ্রবাদী সংগঠনের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা সশস্ত্র উগ্রবাদী মতবাদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও নানামুখী সন্ত্রাসী হামলার ছক একে উসকানিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নতুন এই সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও অন্যান্য সদস্যরা আইটি সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান অর্জন, বোমা তৈরীর কৌশল শিক্ষা এবং সংগঠন পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
এটিইউর প্রধান মো. আলীম মাহমুদ বলেন, গত চার মাস আগে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। গত ১৩রা সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুই জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২-৩ মাস তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিলো। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে একত্রিত হচ্ছিলো। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সাহেবে-কিরান বারাহ (দারুল জান্নাত)’ নামে সিক্রেট অনলাইন গ্রুপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলো। এই দলের প্রতিষ্ঠা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলীম মাহমুদ বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিলো। এই অর্থ দিয়ে তারা অস্ত্র কেনাসহ বোমা তৈরি সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিলো তাদের। এই অস্ত্র ও বোমা দিয়ে তারা বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিলো।