যুবলীগে ধান্দাবাজ-চাঁদাবাজদের স্থান নেই : সিলেট মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে ওমর ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১২:৩১,অপরাহ্ন ২৭ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৫৮৯ বার পঠিতদীর্ঘ ১৪ বছর পর সিলেট মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩ টায় সম্মেলনের ১ম অধিবেশন শুরু হয়। সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। উদ্বোধনী বক্তব্যে মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। এটি শৃঙ্খলা শেখার কারখানা। যুবলীগে ধান্দাবাজ-চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই। এখানে মেধাবীদের জায়গা আছে। মেধাবীরাই যুবলীগে মূল্যায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, বাঙালী জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। শেখ হাসিনার মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৪ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে জঙ্গি দেখেছি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার বিদায় দিয়েছে। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে মডেল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওমর ফারুক বলেন, আমি নেতা ; আমি বক্তা, শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এ লড়াই আজ থেকে শেষ করতে হবে। গোলমাল আর গ্রুপিং রাজনীতি পরিহার করে মানুষের মন জয় করতে হবে। যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর মধ্যে ছাড় দেওয়ার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। যুবলীগে কোনো কোন্দল থাকবে না। আজ থেকে শপথ নিতে হবে, নিজেদের মধ্যে আত্মকোন্দল দূর করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার।
যুবলীগ চেয়ারম্যানের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এসময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বের ৫টি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় একটি অর্থনীতির দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমূহ থেকে অনেক এগিয়ে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে যুব সমাজের অনেক ত্যাগ আছে। তিনি আরও বলেন, একটি দেশের যুব সমাজ পারে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে। যুব নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নেতৃত্বে বৈষম্য দূর করে প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ড. মোমেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আগামী ১০ বছরে সুইজারল্যান্ড নয় বাংলাদেশের সমান হয়ে দেখান। কারণ বাংলাদেশ যেভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের সমান হতে পাকিস্তানে আরও ৫০ বছর লাগবে। বাংলাদেশ বীরের জাতি, স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে যেমন জানে, তেমনি দেশকে এগিয়ে নিতেও জানে।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফুর রহমান, মাহমুদ উস সামাদ কয়েছ এমপি, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদ।
মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার ও সেলিম আহমদ সেলিম’র সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, ড. আহমদ আল কবির, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, মো. আলী খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, ফারুক হাসান তুহিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, শফিকুল ইসলাম, শ্যামল কুমার রায়, এনআই আহমেদ সৈকত প্রমুখ। এরআগে বেলা ১২টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকার যুবলীগ নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থল সিলেট রেজিস্টারি মাঠে প্রবেশ করেন। এসময় তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সম্মেলন স্থলের চারপাশ। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন। অনেকের মাথায় ছিল রঙিন ক্যাপ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রেজিস্টারি মাঠ সংলগ্ন এলাকার চারপাশ বিভিন্ন প্রার্থীর ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।