শিশু নুসাইবা ফুল কে হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪৫:৪৩,অপরাহ্ন ২৯ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪৯৪ বার পঠিত
কুমিল্লায় জারিন নুসাইবা ফুল নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক এম এ আউয়াল এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার চান্দিনা উপজেলার কঙ্গাই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল (১৯) ও কোতয়ালি মডেল থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার সেলিম চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় (১৯)।
নিহত শিশু ফুল (৮) কুমিল্লা নগরীর নুরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফুলকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর অপহরণকারীরা তার নানা সামছুল আলমের মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ফুলের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন ৫ জানুয়ারি কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের নাইট গার্ড ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মো. শাহাদাৎ হোসেনকে একমাত্র এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামছুদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে অন্যতম আসামি রুবেলকে আটক করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার পাঁচদিন পর ৯ জানুয়ারি নুরপুর কাজী বাড়ি পুকুর থেকে ফুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার এবং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত ফুলের দূর সম্পর্কের মামা নুরপুর কাজী বাড়ির কাজী জহিরুল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ইমতিয়াজের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় পুলিশ। তবে পরবর্তীতে তিনি অপর একটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন।
পরে ওই বছরের ২৬ জুন মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত হওয়ার কারণে দিদারুল আলম ইমতিয়াজকে মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় এর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সোমবার দুপুরে চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত।