বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে: কাদের
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:৫৫,অপরাহ্ন ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | সংবাদটি ১২৮ বার পঠিতরাজপথে বিএনপি’র পদযাত্রার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ সময় নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, বিএনপি’র কর্মসূচি মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, ভাঙচুর আর অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। এজন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। জনগণের জানমালের যেন কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি বলেন, দেশেও বিএনপি’র জনগণ নেই, বিদেশেও নেই। বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে। ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশ বদলে গেছে।
দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মন খারাপ। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব সংকটেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি। বিশ্ব পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে জ্বালানি তেল, খাদ্যশস্য কিনে কম দামে জনগণকে দিচ্ছি যাতে দেশের মানুষের কষ্ট কম হয়। বিএনপি হলে দিতো খাম্বা। তারেক জিয়া খাম্বা ব্যাপারি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাবে।
বিএনপি হলো নষ্ট রাজনীতির হোতা। এদেশের রাজনীতির বিষফোঁড়া। তাদের কাছে এদেশের মানুষ, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা নিরাপদ নয়। এরা সুযোগ পেলে মানুষ পোড়াবে, ভাঙচুর করবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে। তিনি বলেন, কে গণতন্ত্র আন্দোলন সম্মেলন করলো এটা আমাদের ভাবনার বিষয় নয়, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে কিনা সেটিই সরকারের মুখ্য বিষয়। এখন বিএনপি’র মুখে খই ফুটেছে। স্লো মোশন থেকে পদযাত্রা। শর্ট মার্চ থেকে লংমার্চ করবে, সবই ভুয়া। ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো আপস নয়। আওয়ামী লীগ পালায় না। তারেক জিয়া পালায়। আওয়ামী লীগ পালাতে জানে না। কারণ আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির গভীরে। বিচ্ছিন্ন করা, পতন ঘটানো সম্ভব না। পালাবেন হয়তো আপনারা। আমরা এদেশেই থাকবো। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। মির্জা আব্বাস বলেছে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তিনি বলেন, এই বিএনপিকে চিনে রাখতে হবে। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথেই রুখে দিতে হবে।
মির্জা আজম বলেন, যখনই নির্বাচন আসে তখনই মিথ্যা অপপ্রচার নিয়ে সামনে আসে বিএনপি। বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, ছিল এবং থাকবে। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে পাহারা দিতে হবে। বিএনপি লাশের রাজনীতি করতে চায়: শেখ পরশ এদিকে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অংশ নিতে পারবে না বলেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। তারা লাশের রাজনীতি করতে চায়। লাশের মাধ্যমে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। তাদের সকল চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন। অপপ্রচারের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশিদের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে যতই চক্রান্ত করা হোক, স্বাধীনতাবিরোধীদের বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনোভাবেই সংগঠনটির নেতাকর্মীদের রাজপথে নামতে দেয়া হবে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।