কারারক্ষক এবার কারাগারে!
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৪:৫৮,অপরাহ্ন ২৯ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৫১৯ বার পঠিতসিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে সোমবার (২৯ জুলাই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিন শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে পার্থর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি থাকার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন এমন অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ। পরে, ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে নিয়ে রাজধানীর ভূতের গলির বাসায় অভিযান চালাতে যায় দুদক। এ সময় পার্থর স্ত্রী ডা. রতন মনি সাহা গেট না খুলে পাশের ভবনের ছাদে টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ ছুড়ে ফেলেন। দুদক কর্মকর্তারা সেই দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে ৫০ লাখ টাকা পান। পরে দুদক কর্মকর্তারা বাসার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার কথা বললে পার্থর স্ত্রী গেট খুলে দেন। দুদক বাসার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।
তবে এসব দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত নয় বলে দাবি করেছেন ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক।
দুদক পরিচালক ইউসুফ দাবি করেছেন, পার্থর বাসা থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা অবশ্যই ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত। তিনি জানিয়েছেন, এ ছাড়া পার্থর আরো কিছু অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। পরে তাঁর বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
সোমবার দুপুরে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, উদ্ধারকৃত টাকার বিষয়ে পার্থ বণিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অনুসন্ধান কর্মকর্তা জব্দকৃত টাকার বৈধ উৎস খুঁজে পাননি।