নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে বালাগঞ্জের পূর্বগৌরীপুর

তারেক আহমদ, বালাগঞ্জ থেকেঃ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৮:৫৭,অপরাহ্ন ১২ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৫৭৪ বার পঠিত
কুুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে বালাগঞ্জের পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম হুমকির মধ্যে রয়েছে।
জানা যায়, বালাগঞ্জের পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর, কোনা মধুরাই, কায়েস্থঘাট, মুসলিমাবাদ ও আমজুড় গ্রামের নদী তীরবর্তী কিছু অংশ কুশিয়ারা গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু এলাকা কুশিয়ারা গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ফলে এসব এলাকা নিয়মিত নদী ভাঙ্গনের কারণে ভয়ঙ্কর হুমকির মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিনে পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়নের আমজুড় গ্রামের নদী ভাঙ্গনকৃত কুশিয়ারা তীরবর্তী অংশে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড় ভেঙ্গে সড়কের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমজুড় গ্রামে বহমান বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কটি কুশিয়ারা গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
এছাড়াও পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়নের কোনামধুরাই গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছর আগে কুশিয়ারা গর্ভে হারিয়ে যাওয়া বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ প্রধান সড়কের বিকল্প হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর( এল.জি.ই.ডি) যে সড়কটি করে দিয়েছিল সে সড়কটিও এখন ভয়ঙ্কর হুমকির মধ্যে রয়েছে। ভয়ঙ্কর কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত বিশাল ঢেউয়ে নদীর পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর অপর পার্শ্বে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক ড্রেজার দিয়ে নিয়মিত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে। ফলে এভাবে একের পর এক এলাকা নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে।
সরেজমিনে পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামেও গিয়ে দেখা যায়, ওখানকার বেশ কয়েকটি পরিবার নদীভাঙ্গনের কারণে ভয়ঙ্কর হুমকির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে সাদেকপুর গ্রামের ২ টি পরিবার ঘর-বাড়ি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্য এলাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সাদেকপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরই সাদেকপুর গ্রামের কোনো না কোনো অংশ এভাবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর ভাঙ্গন দেখা দিলে বালাগঞ্জের ইউ.এন.ও, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা পরিদর্শন করে নদী ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে চলে যান। তারপর কাজের কাজ আর কিছুই হয় না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস বলেন- আমি এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বালাগঞ্জের ইউ.এন.ও মহোদয়কে অবগত করেছি।